সোশ্যাল মিডিয়ার গলা চেপে ধরতে চাইছে ভারত
মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের পর এবার সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর টুটি চেপে ধরতে চাইছে ভারত। এজন্য যে খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে ভারত সরকার তাতে কোনও কন্টেন্ট দ্রুত সরিয়ে ফেলা এবং তদন্তে সহায়তা করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে।
সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণের জন্য দিল্লি এই ইন্টারমিডিয়ারি গাইডলাইন্স অ্যান্ড ডিজিটাল মিডিয়া ইথিকস কোড তৈরি করেছে। ওই কোডের একটি কপি দেখেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চাইছে, ভারতও একই পথে হাঁটছে।
গত সপ্তাহে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক সংবাদ প্রকাশক এবং রাজনীতিকদের তোপের মুখে পড়ে। নিউজ কন্টেন্ট প্রকাশের জন্য অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে অস্ট্রেলিয়ার ফেসবুক তাদের কিছু সেবা বন্ধ করে দিয়েছিল। এটা বিশ্বে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।
ভারতে চলমান কৃষক আন্দোলন নিয়ে তিক্ত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে টুইটারের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার কিছু টু্ইট সরাতে বললেও রাজি হয়নি টুইটার। এ নিয়ে বেশ জল ঘোলা হয়। ২০১৮ সাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর কঠোর হতে বিধিনিষেধের ব্যাপারে সরব মোদি প্রশাসন।
ভারত সরকার এখন যে খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে, তাতে বলা হয়েছে- সরকার বা কোনও লিগ্যাল অর্ডার পাওয়ার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে কোনও কন্টেন্ট মুছে ফেলতে হবে। এমনকি এ ধরনের কোনও অনুরোধের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্তে সরকারকে অবশ্যই সহায়তা করতে হবে।
এছাড়া যৌনতায় ভরা কন্টেন্ট অভিযোগ পাওয়ার একদিনের মধ্যে অকোজো করতে বা মুছে ফেলতে হবে। যদিও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি ফেসবুক। মন্তব্য জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে টুইটারও।
এ
মন্তব্য করুন